পাতাপোড়াচারা অবস্থায় পাতাপোড়া রোগ হলে সম্পূর্ণ গোছা পচে যায় ও
ঢলে পড়ে। রোগের এ অবস্থাকে কৃসেক বলে। এ অবস্থায় অয়াক্রান্ত কাণ্ড ছিঁড়ে
চাপ দিলে পুজের মতো আঠালো ও দুর্গন্ধযুক্ত রস বের হয়। এ ছাড়া কখনও কখনও
রোগাক্রান্ত গাছের উপর দিকের কচিপাতা ফ্যাকাশে হলদে রং ধারণ করে আস্তে
আস্তে মারা যেতে পারে। এ অবস্থাকে ফ্যাকাশে হলদে লক্ষণ বলে। ধানগাছে থোড়
অবস্থা থেকে প্রধানত পাতাপোড়া রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। প্রথমে পাতার অগ্রভাগ
বা কিনারা থেকে লক্ষণ শুরু হয়। আক্রান্ত অংশ থেকে পাতার দুই বা এক ধার থেকে
পাতাটা শুকনো খড়ের রং ধারন করে মরতে থাকে এবং ক্রমশ সম্পূর্ণ পাতাটাই মরে
শুকিয়ে যায়। রোগ বেড়ে গেলে গাছের সব পাতাই এভাবে মরে সম্পূর্ণ ফসল নষ্ট হতে
পারে। অনবরত বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া এ রোগ বিস্তারে সাহায্য করে। পামরী পোকা
বা অন্যান্য পাতা নষ্টকারী পোকার আক্রমণ ও বাতাসে পাতায় পাতায় ঘর্ষণের ফলে
সৃষ্ট ক্ষত দিয়েও রোগজীবাণু পাতার ভেতর ঢুকে এ রোগ বিস্তার করতে পারে। এ
রগের জীবানু বাতাস ও বৃষ্টির সাহায্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়ায়।
বাতাসে জলীয় বাষ্প কম এবং প্রচুর সূর্যের আলো থাকলে পাতাপোড়া রোগ কম
বিস্তার লাভ করে। রোগের অনুকূল অবস্থায় ২-৩ দিনের মধ্যেই এ রোগ সার মাঠে
ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাতাপোড়া রোগ নিয়ন্ত্রণের উপায়১। সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার করুন এবং ইউরিয়া সার তিন কিস্তিতে প্রয়োগ করুন।২। ঝড়-বৃষ্টির পর ইউরিয়া সার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।৩। রোগ দেখা দেওয়ার পর ইউরিয়া সারের উপরি-প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।৪। কৃসেক হলে আক্রান্ত জমির পানি শুকিয়ে ৭-১০ দিন পর আবার সেচ দিন। ৫। চারা উঠানোর আগে সেচ দিয়ে বীজতলা ভালভাবে ভিজিয়ে সাবধানে চারা তুলতে হবে যেন শিকড় কম ছিড়ে।৬। রোগাক্রান্ত জমির ফসল কাঁটার পরে নাড়া জমিতে পুড়িয়ে ফেলুন।৭।
রোগ প্রতিরোধশীল ও মধ্যম প্রতিরোধশীল জাত ব্রিশাইল (বিআর৪), প্রগতি
(বিআর১০), গাজী (বিআর১৪), মঙ্গল (বিআর১৯), নিয়ামত (বিআর২১), নয়াপাজাম
(বিআর২৫), ব্রি ধান২৭, ব্রি ধান৩১, ব্রি ধান৩২, ব্রি ধান৩৭, ও ব্রি ধান ৩৮
এর চাষ করুন।
উত্তর সমূহ
পাতাপোড়াচারা অবস্থায় পাতাপোড়া রোগ হলে সম্পূর্ণ গোছা পচে যায় ও ঢলে পড়ে। রোগের এ অবস্থাকে কৃসেক বলে। এ অবস্থায় অয়াক্রান্ত কাণ্ড ছিঁড়ে চাপ দিলে পুজের মতো আঠালো ও দুর্গন্ধযুক্ত রস বের হয়। এ ছাড়া কখনও কখনও রোগাক্রান্ত গাছের উপর দিকের কচিপাতা ফ্যাকাশে হলদে রং ধারণ করে আস্তে আস্তে মারা যেতে পারে। এ অবস্থাকে ফ্যাকাশে হলদে লক্ষণ বলে। ধানগাছে থোড় অবস্থা থেকে প্রধানত পাতাপোড়া রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। প্রথমে পাতার অগ্রভাগ বা কিনারা থেকে লক্ষণ শুরু হয়। আক্রান্ত অংশ থেকে পাতার দুই বা এক ধার থেকে পাতাটা শুকনো খড়ের রং ধারন করে মরতে থাকে এবং ক্রমশ সম্পূর্ণ পাতাটাই মরে শুকিয়ে যায়। রোগ বেড়ে গেলে গাছের সব পাতাই এভাবে মরে সম্পূর্ণ ফসল নষ্ট হতে পারে। অনবরত বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া এ রোগ বিস্তারে সাহায্য করে। পামরী পোকা বা অন্যান্য পাতা নষ্টকারী পোকার আক্রমণ ও বাতাসে পাতায় পাতায় ঘর্ষণের ফলে সৃষ্ট ক্ষত দিয়েও রোগজীবাণু পাতার ভেতর ঢুকে এ রোগ বিস্তার করতে পারে। এ রগের জীবানু বাতাস ও বৃষ্টির সাহায্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়ায়। বাতাসে জলীয় বাষ্প কম এবং প্রচুর সূর্যের আলো থাকলে পাতাপোড়া রোগ কম বিস্তার লাভ করে। রোগের অনুকূল অবস্থায় ২-৩ দিনের মধ্যেই এ রোগ সার মাঠে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাতাপোড়া রোগ নিয়ন্ত্রণের উপায়১। সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার করুন এবং ইউরিয়া সার তিন কিস্তিতে প্রয়োগ করুন।২। ঝড়-বৃষ্টির পর ইউরিয়া সার প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।৩। রোগ দেখা দেওয়ার পর ইউরিয়া সারের উপরি-প্রয়োগ বন্ধ রাখুন।৪। কৃসেক হলে আক্রান্ত জমির পানি শুকিয়ে ৭-১০ দিন পর আবার সেচ দিন। ৫। চারা উঠানোর আগে সেচ দিয়ে বীজতলা ভালভাবে ভিজিয়ে সাবধানে চারা তুলতে হবে যেন শিকড় কম ছিড়ে।৬। রোগাক্রান্ত জমির ফসল কাঁটার পরে নাড়া জমিতে পুড়িয়ে ফেলুন।৭। রোগ প্রতিরোধশীল ও মধ্যম প্রতিরোধশীল জাত ব্রিশাইল (বিআর৪), প্রগতি (বিআর১০), গাজী (বিআর১৪), মঙ্গল (বিআর১৯), নিয়ামত (বিআর২১), নয়াপাজাম (বিআর২৫), ব্রি ধান২৭, ব্রি ধান৩১, ব্রি ধান৩২, ব্রি ধান৩৭, ও ব্রি ধান ৩৮ এর চাষ করুন।